নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারে পর্যটক নারীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ মামলায় গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান বাবুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর আগে সকালে প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড পেয়েছে পুলিশ।

সোমবার রাতে মামলার এজাহারভূক্ত সর্বশেষ পলাতক আসামি মেহেদী হাসান বাবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে মেহেদীকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১২ টায় প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক ও দুপুরে বাবুকে কক্সবাজারের জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম আবুল মনসুর ছিদ্দিকীর আদালতে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার সকালে আশিককে ঢাকা থেকে কক্সবাজার কারাগারে আনা হয়।

আশিকুল ইসলাম আশিক কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে। সে মামলাটির প্রধান আসামি।

আশিককে গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে মাদারীপুর থেকে আত্মগোপন অবস্থায় গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পর আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে ২৫ বছর বয়সী এক পর্যটক নারীকে তুলে নিয়ে স্বামী-সন্তানকে জিন্মি করে কয়েক দফা ধর্ষণের অভিযোগ উঠে স্থানীয় একটি অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় পরদিন ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করা হয় আরো তিনজনের বিরুদ্ধে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিনকে।

মামলার এজাহারভূক্ত প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক, মেহেদী হাসান বাবু, ইসরাফিল হুদা জয় ও রিয়াজ উদ্দিন ছোটন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার হয় আরো ৩ জন।ডম

মহিউদ্দীন বলেন, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে সোমবার সকালে মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে ঢাকা থেকে কক্সবাজার কারাগারে আনা হয়। পরে দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। রিমান্ড আবেদনের শুনানীর জন্য আদালত মঙ্গলবার দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

” মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১২ টায় আদালত শুনানী শেষে আশিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন। “

আশিকে মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দীন।

এর আগে মামলায় গ্রেপ্তার ৫ আসামিকেও রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

সংশ্লিষ্ট আগের সংবাদ : ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : প্রধান আসামি আশিকের ৩ দিনের রিমান্ড, তৃতীয় আসামি বাবুর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন